Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রায়পুর, লক্ষ্মীপুরেএর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকায় প্রায় ২১৭ বর্গমাইল এলাকা ব্যাপিয়া বেড়ী বাঁধপাম্প হাউজ  স্লুইস গেইট নির্মানের ফলে ২৮ হাজার পুকুরনদীখাল ইত্যাদি সহ আনুমানিক ১৭০০০ হাজার জলাশয় থাকা সত্ত্বেও উক্ত এলাকায় মৎস্য উৎপাদন হ্রাস পাইতে থাকে। ফলে ১৯৭০ সালে প্রাক্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মৎস্য বিভাগ মৎস্য সম্পদের উপর I.B.R.D পর পক্ষ হইতে দেশী  বিদেশী বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে  এলাকায় প্রাথমিক জরীপ কার্য্য পরিচালিত করেন। ইহার পরিপ্রেক্ষিতে “ চাঁদপুর মহুরী কর্ণফুলী সেচ প্রকল্প “ এলাকায় মৎস্য উন্নয়ন শিরোনামে একটি প্রকল্প চালু করার প্রয়োজনে ১৯৭৫-৭৬ সালে পরিকল্পনা কমিশনে পেশ করা হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর  ১৯৭৬-৭৭ সাল হইতে দেশী  বিদেশী বিশেষজ্ঞদের দ্বারা চাঁদপুর ফেণী  চট্টগ্রামে তিনটি ইউনিটে / কেন্দ্রে তথ্য অনুসন্ধানমূলক কার্যাদি চলিতে থাকে। ১৯৭৯-৮০ সালে  চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকায় রায়পুর নোয়াখালীতে মৎস্য উন্নয়নের জন্য পোনা সরবরাহ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশক্রমে রায়পুরে মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র নাম পরিগ্রহ করতঃ উহার নির্মাণ কাজের যাবতীয় কাজের যাবতীয় ব্যবস্থা গৃহীত হয়। উক্ত প্রকল্পটি মৎস্য চাষীগণকে পোনা সরবরাহকারিগরী জ্ঞানদানমুক্ত জলাশয়ে মৎস্য চাষের ব্যবস্থাপনাবৈজ্ঞানিক প্রথায় মৎস্য চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া  মৎস্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পুরনের জন্য এবং বাংলাদেশে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৭৬-৭৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের অনুমোদন লাভ করে। এই উদ্দেশ্যে মৎস্য  পশু পালন মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায়  কোটি ৩০ লক্ষ (আই,ডি,   কোটি ৩০ লক্ষ বাংলাদেশ সরকার  কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৪ একর জমিতে বিভিন্ন আয়তনের ৭৫ টি পুকুরের সমন্বয়ে  ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে রায়পুর প্রকল্প নির্মাণ শুরু করিয়া ১৯৮২ সালের জুন মাসে সমাপ্ত করা হয় এবং তৎকালীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় কৃষি মন্ত্রী জনাব ,জেড,এম,ওবায়দুল্লাহ খাঁন কর্তৃক  সেপ্টেম্বর ১৯৮২ সালে উদ্ভোধন করা হয়। বর্তমানে মৎস্য প্রজনন  প্রশিক্ষণ কেন্দ্ররায়পুরলক্ষ্মীপুর মৎস্য অধিদপ্তরের একটি সফলতম প্রতিষ্ঠান।  কেন্দ্রের কার্যক্রম পারিচালিত হয় দুইট কম্পোনেন্টের মাধ্যমে যার একটি হলো উৎপাদন কম্পোনেন্ট এবং অন্যটি প্রশিক্ষণ কম্পোনন্ট। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি  সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে কার্যক্রম শুরু হলেও  কেন্দ্রটি বাংলাদেশের মাছচাষ সম্প্রসারণ  প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান রেখে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে  কেন্দ্রের উদ্দেশ্য ছিল মৎস্য চাষীদের গুনগত মানসম্পন্ন রেণু  পোনার সরবরাহ নিশ্চিত করা।  ছাড়া কেন্দ্রের কেন্দ্রের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো দেশের মৎস্যচাষ  সম্প্রসারণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির জন্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মাঠ র্যায়ে মৎস্য সেক্টনর নিয়োজিত সর্বস্তরের জনগনকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান। প্রশিক্ষণ উপকরণ এর কিছুটা সীমাবদ্ধতা থকলেও এখান থেকে গড়ে প্রতি বছর ৩০০-৩৫০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।  সম্পূর্ণ সেবামূলক হলেও  প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর দেশে মাছের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সরকারী কোষাগারে জমা দিচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব যা একক মৎস্য হ্যাচারী খামার হিসেবে মৎস্য মৎস্য অধিদপ্তরের সর্বোচ্চ।  প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব।

মানচিত্র